Reporter: শ্যামশ্রী সাহা | লেখক: উপালি মুখোপাধ্যায় | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ ১২ : ৪৯

এতদিন অভিনয়ে বাজিমাত করেছেন। এবার রাজনীতিতেও! প্রথম আওয়ামি লিগের হয়ে পদ্মাপারের নির্বাচনে দুই বাংলার সুপারহিট অভিনেতা ফিরদৌস। প্রথমবারেই বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়ী তিনি। বিরোধী আসনে প্রার্থী ছিলেন মাহিয়া মাহি, হিরো আলম। তাঁদের ভরাডুবি হয়েছে। ফিরদৌসের এই জয়ে খুশি এপার বাংলাও। আজকাল ডট ইন নায়কের প্রিয় বন্ধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে। উচ্ছ্বসিত নায়িকা বলেন, ‘‘আমি অসম্ভব খুশি। ভোটে জিতেই ফিরদৌস ফোন করেছিল। বলল, আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু কোথায়? উদযাপন করব।’’

এখানেই থামেননি দুই বাংলার প্রথম সারির নায়িকা। দাবি, ‘‘খুব কাছের বন্ধু। আমি উচ্ছ্বসিত ওর জন্য। সবসময় ওর মঙ্গলকামনা করি।’’ তাঁর মতে, এই জয় ফিরদৌসের পাওনা। সেটাই পেয়েছে। এই জয়ের পিছনে নায়কের প্রচণ্ড পরিশ্রম রয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে অনেক দিনের। একথা আভাসে কয়েক বার ঋতুপর্ণাকে আগে জানিয়েছেন। কারণ, অভিনয়ের বাইরেও দুই পরিবার খুব ঘনিষ্ঠ। বন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় তাই স্বাভাবিকভাবেই খুশি আর এক বন্ধু। নায়িকার মতে, এটা ফিরদৌসের অনেক বড় পদক্ষেপ। রাজনীতিতে এই ধরনের মানুষের খুব প্রয়োজন। ফিরদৌস যেমন ভাল অভিনেতা তেমনি খুব ভাল মানুষ। রাজনীতিতে আসার আগেও মানুষের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

ফিরদৌস তখন সদ্য প্রার্থীর মনোনয়ন পেয়েছেন। সেই সময় শোনা গিয়েছিল, তিনি প্রয়োজনে নায়কের হয়ে প্রচারেও অংশ নেবেন...! সঙ্গে সঙ্গে ঋতুপর্ণার ধরতাই, ‘‘বলেছিলাম, আমার বন্ধুর যে কোনও ভাল কাজের পাশে সব সময় আমার নৈতিক সমর্থন রয়েছে। বন্ধুর পাশে থাকব। সেই কথার অপব্যাখ্যা করে অর্থই বদলে দেওয়া হয়েছিল।’’ নায়িকার একাধিক বন্ধু রাজনীতিতে। তাঁরা কমবেশি সকলেই সফল। তাঁদের দেখে ঋতুপর্ণার রাজনীতিতে আসতে ইচ্ছে করে? জানতে চেয়েছিল আজকাল ডট ইন। নায়িকার সাফ জবাব, ‘‘একটুও ইচ্ছে নেই। কারণ, রাজনীতি বুঝি না। আপাদমস্তক শিল্পী মানুষ।’’ তবে তাঁর যে বন্ধুরা রাজনীতিতে আসছেন তাঁদের প্রতি তাঁর বার্তা, তাঁরা যেন এই পেশার প্রতিও সৎ থাকেন। সাধারণের উন্নতিতে নিজেদের উৎসর্গ করেন। খুব শিগগিরিই ওপার বাংলায় উড়ে যাচ্ছেন ঋতুপর্ণা। সে খবর দিয়ে বলেছেন, ‘‘অভিনয় নিয়েই কথা বলতে যাব। তখন দুই বন্ধু এক হয়ে জোরদার উদযাপন হবে।’’